প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
পাবনা জেলার অর্ন্তগত ফরিদপুর উপজেলাধীন পুংগলী ইউনিয়নের অন্যতম গ্রাম দিঘলীয়া। চলনবিল বিধৌত বড়াল নদী ও শালিকা নদী দ্বারা বেষ্ঠিত শস্য শ্যামল অপরূপা বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এ নিভৃত পল্লীর বুকে ঐতিহ্যবাহী দিঘলীয়া এ,জেড উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অবস্থিত। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলের অন্তিম পর্যায়ে ১৯৪৭ খ্রি:১৭ ই জানুয়ারী প্রায় ৩ (তিন) একর জমির ওপর অত্যান্ত মনোরম পরিবেশে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।প্রতিষ্ঠালগ্নে এলাকার নজন্মা বিদ্যানুরাগী মহান হিতৈষী দানবীর ব্যক্তি আলহাজ্ব জয়েন উল্লাহ ১৬ (ষোল) বিঘা জমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান করেন। দাতার নাম অনুসারে সংক্ষেপে এর নাম করণ করা হয় দিঘলীয়া এ,জেড উচ্চ বিদ্যালয়।
১৯৯৭খ্রি: সালে এই বিদ্যালয়টি কলেজ শাখায় উন্নিত হয়। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পিছনে যার সবচেয়ে বেশি অবদান তিনি মরহুম ডা: আয়নুল হক।সুদির্ঘী ৬৯ বছর পূর্বের ইতিহাস জনমুখে জানা যায় যে, ডা: আয়নুল হক অত্র এলাকার জনগণের শিক্ষার লক্ষে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এলাকার জ্ঞানী গুণী,সুধী, জনগণদের আহবান করেন।নির্ধারিত দিনে আলোচনা সভায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যে জায়গায় অবস্থিত এই জায়গাটি নির্ধারণ করেছিলন বিলচান্দক গ্রামের প্রয়াত হাজী বেলায়েত হোসেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৫ম শ্রেণি হইতে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭ জন ছাত্র ও ৫ জন শিক্ষক দ্বারা ছনের ছাউনি ও পাঠ খড়ির বেড়া দ্বারা নির্মিত ঘরে এর পাঠদান শুরু হয়। ৩ (তিন) মাস পর হাজী বেলায়েত হোসেন সাহেব, নিজ বাড়ী থেকে ১ টি (এক) কানাজ তারার টিনের ঘর এনে বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে হিসাবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করেন।ঐ সময় প্রতিষ্ঠানটি গড়ার সহযোগিতায় যারা নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে কেনাই গ্রামের জালাল উদ্দীন খাঁ,আলহাজ্ব নইমুদ্দীন খাঁন সাহেব।আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার সাহেব, হাজী লাল চাঁদ,ইব্রাহীম মাষ্টার,রতন পুর গ্রামের এলাহী তালুকদার,দত্তপুংগলী গ্রামের কাশেম আলী চৌধুরী,হাজী বাবর আলী, দিঘলীয়া গ্রামের জাবক্স সরকার অন্যতম।এ ছাড়া খেলার মাঠ ও হাটের জমি স্বেচ্ছায় ও বিনিময়ের মাধ্যমে যারা প্রতিষ্ঠানকে দান করেছিলেন তাদের মধ্যে হাজী সরফদি প্রাং,আছির উদ্দীন প্রাং,ইউসুফ আলী প্রাং,জুরান প্রাং,রোস্তম আলী,আজমত আলী প্রাং, কেশমত আলী প্রাং,কুশাই প্রাং,কোমের মোল্লা, জামাত আলী প্রাং,রহিম প্রাং ও জলিল খা সহ আরও অনেকে।।
